৩ কারণে ড. ইউনুসকে যমের মত ভয় পান মোদি


এক সময়ের গল্প ছিল চাঁদের বুড়ির চরকা কাটার কথা, যেখানে সুতো জমছিল তার ভান্ডারে। ছোটবেলায় শোনা এই গল্প এখন যেন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। তবে এবার সুতো জমাচ্ছে ভারত, না, সুতো নয়, জমাচ্ছে নালিশ আর গুজব, আর সেগুলি পুরোপুরি বাংলাদেশ ও ঢাকার বিরুদ্ধে। দিল্লির নালিশের কোনও শেষ নেই, যেন প্রেমিকার মতো ঠোঁট ফুলিয়ে রয়েছে দিল্লি, ছুতো পেলেই তারা জুতো খুলে দৌড়ে যাচ্ছে নালিশ করতে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। জনসমুদ্রের তোপে গড়িয়ে পড়ে স্বৈরাচারী পরিস্থিতি। গণভবনের মায়া ছেড়ে পালালেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, দিল্লি আশ্রয় দিতে চাইলে দিল্লির আনন্দ বাড়েনি, বরং সাপের মতো ফণা তুলে দাঁড়িয়ে গেল দিল্লি, যেটি আক্রমণ করতে চাইলেও তার বিষ বিক্রি হয়নি, বরং শুধু ফসফোসই শোনা গেছে। এই পরিস্থিতি হাসিনার দিল্লিতে যাওয়ার পর ভারত উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে। ভারতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ঢাকা ও মানবাধিকার নিয়ে চিন্তা-ভাবনায়। কিন্তু হাসিনার অগণতান্ত্রিক কাজকর্ম, বিরোধীদের দমন, গুম বা ক্রসফায়ারের মতো কোনও বিষয়ই ভারতকে ভাবায়নি। এমনকি ছাত্রজনতার ওপর নির্যাতন, গুলির ঘটনা বা হত্যাযজ্ঞ নিয়েও তারা মন্তব্য করেনি।

হাসিনার বিদায়ের পর, দিল্লি নালিশের সুতায় নতুন করে পাকানো শুরু করল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, রণধীর জয়সোয়াল, টানা সাত মাস ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছেন। এমনকি দিল্লি কিংবা নাগপুরের দাঙ্গাতেও তাকে এতটা উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। শুধু দিল্লি নয়, ওয়াশিংটনেও মোদি প্রশাসন বাংলাদেশের বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, হাসিনার পতনে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না, বরং ভারতই এইসব ইস্যুতে কাজ করে থাকে।

তবে মোদি বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলোচনায় যেতে চাইছেন না। তিনি কৌশলে ড. ইউনুসকে এড়িয়ে চলছেন। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, মোদি কেন সরাসরি আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছেন? কেন তিনি ড. ইউনুসের মুখোমুখি হতে এত ভয় পাচ্ছেন? গুজবের কারখানা চালানো এবং রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য কি তারা এসব করছে, নাকি হাসিনা হারানোর বেদনা মোদিকে সঠিক পথে আসতে দিচ্ছে না?

Previous Post Next Post