ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হচ্ছে এবারও! এ বছরই ঘটবে কি বিপর্যয়কর ঘটনা?

২০২৫ সালে ইউরোপ যেন একের পর এক সংকটে জর্জরিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে নানা ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েন মহাদেশটিকে কাঁপিয়ে তুলেছে। তবে কি এই সংকট কেবল শুরু? সামনে কি আরও ভয়াবহ যুদ্ধ অপেক্ষা করছে ইউরোপের জন্য?

বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গা এসব বিষয়ে আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইউরোপের জন্য কঠিন সময় আসছে, যেখানে বহু প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটবে। যদিও এসব ভবিষ্যদ্বাণী আপেক্ষিক, বাস্তবে অনেক ঘটনাই তার কথার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

কে ছিলেন বাবা ভাঙ্গা?
বাবা ভাঙ্গা, যার মূল নাম ভ্যানজেলিয়া পন্দেভা গুষ্টেরোভা, জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুলগেরিয়ায়। ভারতে তিনি বাবা ভাঙ্গা নামে পরিচিত। মাত্র ১২ বছর বয়সে এক ভয়ঙ্কর ঝড়ে তিনি তার দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য হারান। এরপর থেকেই তিনি দাবি করতে থাকেন যে তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পান। ১৯৯৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তাকে কেউ কেউ “বলকানের নস্ত্রাদামুস” বলে অভিহিত করেন।

বাবা ভাঙ্গার আলোচিত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো
বাবা ভাঙ্গার বেশ কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ইতোমধ্যে সত্যি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। যেমন—

৯/১১ হামলা
প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু
চেরনোবিল বিপর্যয়
ব্রেক্সিট
২০২৪ সালে ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কার (যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন)
২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার বৃদ্ধি
বাবা ভাঙ্গা আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ২০৪৩ সালের মধ্যে গোটা ইউরোপ মুসলিম শাসনের অধীনে চলে যাবে।
২০৭৬ সালে সারা বিশ্বে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—

২০২৮ সালে শুক্র গ্রহে মানুষ পৌঁছাবে এবং পানির সন্ধান পাবে।
২০৩৩ সালে বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ভয়াবহভাবে বেড়ে যাবে।
২১৩০ সালে মানুষের সঙ্গে এলিয়েনদের যোগাযোগ হবে।
৩০০৫ সালে মঙ্গলবাসীদের সঙ্গে পৃথিবীর যুদ্ধ বাঁধবে।
৫০৭৯ সালের মধ্যে পৃথিবী ধ্বংস হবে।
ভবিষ্যৎ কি সত্যিই এমন হবে?
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীগুলো নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কেউ বিশ্বাস করেন, আবার কেউ মনে করেন, এগুলো নিছক কাকতালীয়। তবে তার কিছু ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হওয়ায় অনেকেই বিস্মিত হন।

বিশ্ব কি সত্যিই তার ভবিষ্যদ্বাণীর পথে এগোচ্ছে? ইউরোপ কি আরও বড় সংকটের দিকে যাচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর কেবল সময়ই দিতে পারবে।

সূত্র:

এক্সপ্রেস বাংলা
Previous Post Next Post